মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী কুবাটবেক বরোনভ পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচন-পরবর্তী দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে রাজনৈতিক বিশৃ্ঙ্খলা দেখা দেওয়ায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুবাটবেক বরোনভের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাদির জাপারভ। তাকে আগের দিন বিক্ষোভকারীরা তাকে জেল থেকে মুক্ত করেন। তার বিরুদ্ধে একজন আঞ্চলিক গভর্নরকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারী বিরোধী দলের সমর্থকেরা পার্লামেন্ট ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। গত কয়েক দিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই কুবাটবেক বরোনভের পদত্যাগের ঘোষণা আসে।
এদিকে, ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে নির্বাচনের ফল বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। গত রোববার দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, দেশটির প্রেসিডেন্ট সুরনবাই জিনবেকোভের মিত্ররা বেশির ভাগ ভোট পেয়েছেন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর পরিমাণে ভোট কেনার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জিনবেকোভ ক্ষমতায় থাকলেও সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এর আগে বিবিসিকে জিনবেকোভ বলেছিলেন, শক্তিশালী কোনো নেতৃত্বের হাতে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। অবশ্য কোনো নেতার নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
জিনবেকোভ আরও বলেছেন, ‘বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষ্য নির্বাচন বাতিল করা নয়, বরং আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানো।’ তিনি সব দলকে বৈধ পথে ফিরে এসে রাজনৈতিক বিপর্যয় একসঙ্গে মোকাবিলার আহ্বান জানান।
পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, জিনবেকোভ ২০১৭ সালে নির্বাচিত হন। তবে এখন সব প্রভাব হারিয়েছেন। তার জায়গায় কে আসবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিরোধী দলের নেতারা ‘কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল’ গঠন করেছেন। কিন্তু তারা এখনো সরকারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে বিভক্ত রয়েছেন।
Leave a Reply